ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে চাষীর ধরন্ত কলা ও আম গাছ কেটে সাবাড় করে দেওয়ায় ন্যায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীর থানায় অভিযোগ।সরজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় উপজেলার বলুহর গ্রামের ঢালী পাড়ার চাষী আব্দার আলী (৫০) পিতা মৃত আত্তাব মন্ডল এর ধরন্ত কলা ও আম গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। আব্দার আলী জানান গত ২ বছর পূর্বে আমাদের ওয়ারেশী সম্পত্তি নিয়ে আমার বোন মোছাঃ উরফান বেগম এর ছেলে মোঃ লাল্টু ওরফে কালু(৩৫) পিতা মৃত আনোয়ার গ্রাম বলুহর শেখ পাড়া’র সহিত ঝগড়াঝাটি হয়।সেই থেকে বোন ও তার ছেলে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। গত কয়েকদিন পূর্বের ঝড়ে কলা গাছ হেলে পড়লে সেগুলো বাঁশের খুঁটি বেধে দেয়। গত ১ লা জুন শনিবার বাগানে গিয়ে দেখতে পায় বাগানের সব কলাগাছ ও আম গাছ বোন ভাগ্নে ও ভাগ্নে বিটার বউ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। কত গুলো গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে জানতে চাইলে বলেন ৬০ টি ধরন্ত কলাগাছ ও ২ টি আম গাছ। ভুক্তভোগী জানান,গাছ কেটে সাবাড় করে দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তারা মারমুখী আচরণ করলে স্থানীয় ভাবে ঠেকিয়ে দেয়। আমি ন্যায় বিচার চেয়ে মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। শতবর্ষী আব্দার আলীর মা কেঁদে উঠে বলে সব কেটে সাবাড় করে দিয়েছে কালু। সে আমার ছেলে কে মেরে ফেলবে। তোমরা বাঁচাও আমার ছেলের। এই বলে অঝোরে কাঁদতে থাকে। গাছ কেটে সাবাড় করে দেওয়ার বিষয়ে লাল্টু ওরফে কালু’র নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,
গাছগুলো আমার মামা নিজেই কেটে আমার দোষারোপ করছে।এবিষয়ে মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুন জানান,অভিযোগ হাতে পেয়েছি তদন্ত পূর্বক দোষী যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে।